শব্দ
শব্দঃ এক বা একাধিক ধ্বনি একত্রিত হয়ে যদি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে তাকে শব্দ বলে।
বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক শব্দ।
শব্দের শ্রেণীবিভাগ
বিভিন্ন দৃষ্টি কোন থেকে শব্দের শ্রেণীবিভাগ হতে পারে।
১. গঠনমূলক শ্রেণীবিভাগঃ
ক. মৌলিক ও
খ. সাধিত
মৌলিক শব্দঃ যে সব শব্দ বিশ্লেষন করা যায় না বা ভেঙে আলাদা করা যায়না সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে।একে আবার সিদ্ধ বা স্বয়ং সিদ্ধ শব্দও বলা হয়। যেমন – হাত, নাক, ফুল, গোলাপ, নাক, তিল, গোলাম, ভাই, বোন, নদ, মাছ, লাল, তিন, মা, পা।
খ. সাধিত শব্দঃ যে সব শব্দকে বিশ্লেষন করা হলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে। অর্থাৎ মৌলিক শব্দ বাদে সকল শব্দই সাধিত শব্দ। সাধারণত একাধিক শব্দের সমাস হয় কিংবা প্রতয় বা উপসর্গ যোগ হয়ে সাধিত শব্দ গঠিত হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ
প্রত্যয়যোগে>সরস্ + বর্তী = সরস্বতী
সমাসবদ্ধ হয়ে > পঞ্চ আনন যার = পঞ্চানন (শিবকে বোঝায়)
চাঁদমুখ (চাঁদের মাতামুখ)
নীলাকাশ (নীল যে আকাশ)
ডুবুরি (ডুব্ + উরি)
চলন্ত (চল্ + অন্ত)
প্রশাসন (প্র+শাসন)
শীতল (শীত+ল)
নেয়ে (না+ইয়া)
গরমিল (গর+মিল)
গৌরব (গুরু+ষ্ণ)
শব্দের অর্থমূলক শ্রেণীবিভাগ
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
ক. যোগিক শব্দঃ যে সব সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে।এ শব্দগুলো প্রকৃতি ও প্রত্যয়রে অর্থানুসারে হয়।
উদাহরণঃ গায়ক = গৈ+নক (অক)
কর্তব্য = কৃ + তব্য
বাবুয়ানা = বাবু + আনা
মধুর = মধু + র
দৌহিত্র = দুহিতা + ষ্ণ
চিকামারা = চিকা + মারা
বাঁদরামি = বাঁদর + আশি
নায়ক = নৈ + অক
শয়ন = শে + অন
খ. রূঢ়ি শব্দঃ যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে। রূঢ় শব্দের অর্থ কর্কশ বা অস্বাভাবিক।
উদাহরণঃ
হস্ত + ইন = হস্তী [যার হস্ত আছে। কিন্তু হস্তী বলতে একটি পশুকে বুঝায়।]
বাঁশ + ই = বাঁশি [বাঁশ দিয়ে তৈরি যে কোন বস্তু নয়। শব্দটি সুরের বিশেষ অর্থে প্রযুক্ত হয়।]
কুশ (এক প্রকার তৃণ) + অল > কুশল
গভেষণা (গো + এষনা ) – গরু খোঁজা। গভীরতম অর্থ অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
তৈল শুধু তিলজাত স্নেহ পদার্থকে বোঝায়। যেমন – বাদাম তেল]
প্রবীণ – শব্দটির অর্থ হওয়া উচিত ছিল প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজাতে পারেন যিনি। কিন্তু শব্দটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি অর্থে ব্যবহৃত হয়।
সন্দেশ – শব্দ ও প্রত্যয়গত অর্থে সংবাদ। কিন্তু রূঢ়ি অর্থে ‘মিষ্টান্ন বিশেষ’।
পাঞ্জাবি – পাঞ্জাবের অধিবাসী। কিন্তু রূঢ়ি অর্থে ‘পোশাক বিশেষ’।
ঝি – চাকরানি বিশেষ। কিন্তু রূঢ়ি অর্থে নিজ কন্যা।
গ. যোগরূঢ় শব্দঃ সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে তাদের যোগরূঢ় শব্দ বলে।
উদাহরণঃ
পঙ্কজ – পঙ্কে জন্মে যা (উপপদ তৎপুরুষ সমাস)। শৈবাল, শালুক, পদ্মফুল প্রভৃতি নানাবিধ উদ্ভিদ পঙ্কে জন্মে থাকে। কিন্তু ‘পঙ্কজ’ শব্দটি একমাত্র ‘পদ্মফুল’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়। তাই পঙ্কজ একটি যোগরূঢ় শব্দ।
রাজপুত – ‘রাজার পুত্র’ অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দ হিসেবে অর্থ হয়েছে ‘জাতি বিশেষ’।
মহযাত্রা – মহাসমারোহে যাত্রা অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দরূপে অর্থ ‘মৃত্যু’।
জলধি – ‘জল ধারণ করে এমন’ অর্থ পরিত্যাগ করে। একমাত্র ‘সমুদ্র’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
উৎপত্তিগত বা উৎসগত শ্রেণীবিভাগ
উৎপত্তিগত বা উৎসগতভাবে পাঁচভাগে ভাগ করা যায়।
১. তৎসম শব্দ: যে সব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে , সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। তৎসম একটি পারিভাষিক শব্দ।
এর অর্থ [তৎ(তার) + সম(সমান)] = তার সমান অর্থাৎ সংস্কৃত। বাংলা ভাষায় তৎসম শব্দের অনুপাত বা পরিমাণ প্রায় ২৫%। তৎসম শব্দের ব্যবহার সাধু ভাষারীতি সুনির্ধারিত। ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং এর পদ বিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনিদির্ষ্ট।
এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে।
তৎসম শব্দ চেনার উপায়ঃ
♦ ণ- যুক্ত শব্দ ( বেশির ভাগ ক্ষেত্রে): ব্যাকরণ, গগণ, চরণ, তৃণ, অগ্রাহয়ণ।
♦ ষ – যুক্ত শব্দ ( বেশি ভাগ ক্ষেত্রে): ভাষা, বৈষ্ণব, নক্ষত্র (ক্ষ = ক+ষ), মনুষ্য, ষন্ড।
♦ঋ – যুক্ত শব্দ (বেশি ভাগ ক্ষেত্রে): গৃহ, গৃহিনী, কৃষি, ঋষি, নৃত্য।
আরো কয়েকটি তৎসম বা সংস্কৃত
চন্দ্র, সূর্য, ভবন, ধর্ম, পাত্র, আকাশ, চন্দন, মাতা, কবি, ছবি, জীবন, দান, ফল, বায়ু, সাগর, কুৎসিত, জ্যোৎস্না, শ্রাদ্ধ, জল, পঞ্চম, আঘাত, উত্তর, উদও, ক্ষুধা, খাদ্য, অলাবু. নক্ষত্র, নদী, ধুম্র, নিমন্ত্রণ, ক্ষমা, অন্ন, স্বামী, পুত্র।
২. তদ্ভব শব্দ বা খাঁটি বাংলা শব্দ : যে সব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায় কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে সে সব শব্দকে তদ্ভব শব্দ বলা হয়। তদ্ভক একটি পারিভাষিক শব্দ। ‘তৎ’ এর অর্থ তার আর ‘ভব’ মানে উৎপন্ন। যেমন সংস্কৃত – হস্ত, তদ্ভব – হাত। সস্কৃত – চর্মকার, প্রাকৃত – চম্মআর , তদ্ভব -চামার। এই তদ্ভব শব্দগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দও বলা হয়। বাংলা ভাষায় তদ্ভব শব্দের পরিমাণ প্রায় ৬০ %।
উদাহরণ
সংস্কৃত প্রাকৃত তদ্ভব
পাদ পাঅ পা
হস্ত হত্থ হাত
চর্মকার চম্মআর চামার
ঘৃত ঘিঅ ঘি
মাতা মাআ মা
চন্দ্র চন্দ চাঁদ
অদ্দ অজ্জ আজ
অর্ধ অদ্ধ আধ
ইন্দ্রাগার ইন্দ্রাআর ইঁদারা
উপাধ্যায় উবজ্ঝাঅ ওঝা
উজ্ঞাপন উন্হাবন উনান
করোতি করোই করে
কথয়তি কহই কহে
ককোনিকা কহোনিআ কনুই
ক্রীণাতি কিনই কিনে
কার্য কজ্জ কাজ
গৃহ ঘর ঘর
চক্র চক্ক চাকা
স্নান হৃান চান
স্তম্ভ ত্থম্ভ থাম
ষোড়শ ষোলহ ষোল
বৎস বচ্ছ বাছা
লবণ লোণ নুন
স্তম্ভ ত্থম্ভ তুমি
দ্বার দুয়ার দোর
ঢক্ক ঢাক্ব ঢাক
ভক্ত ভও ভাত
মিথ্যা মিচ্ছা মিছা
৩. অর্ধ তৎসম শব্দঃ বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়।এগুলোকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ। তৎসম মানে সংস্কৃত। আর অর্ধ তৎসম মানে আধা সংস্কৃত। বাংলা ভাষায় অর্ধ তৎসম শব্দের পরিমাণ প্রায় ৫ ভাগ।
উদাহরণঃ
তৎসম অর্ধ-তৎসম
জ্যোস্না জোছনা
শ্রাদ্ধ ছেরাদ্দ
গৃহিণী গিন্নী
বৈষ্ণব বোষ্টম
কৃষ্ণ কেষ্ট
কুৎসিত কুচ্ছিত
ক্ষুধা খিদে
চন্দ্র চন্দর
নিমন্ত্রণ নেমন্তন্ন
পত্র পত্তর
পুরোহিত পুরুত
প্রীতি পিরিতি
মহোৎসব মোচ্ছব
মিত্র মিত্তির
সূর্য সুরুজ
৩. অর্ধ তৎসম শব্দঃ বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়।এগুলোকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ। তৎসম মানে সংস্কৃত। আর অর্ধ তৎসম মানে আধা সংস্কৃত। বাংলা ভাষায় অর্ধ তৎসম শব্দের পরিমাণ প্রায় ৫ ভাগ।
৪. দেশি শব্দঃ বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমনঃ কোল, মুন্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত আছে । এ সকল শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়। দেশি শব্দের পরিমান প্রায় ২ ভাগ।
উদাহরণঃ
কুড়িঁ, পেট, চুলা, কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ঢেঁকি, আলু, ঝাঁটা, ঝোল, ডিঙি, টোপর, ঢেউ, ডাহা, চোঙ্গা, কালো, আড়, ওত, উল্টা, খড়, খেয়া, খাড়া, খোঁটা, বাদুর, চিংড়ি, চাউল, ঝিঙা, ঝাড়, ঢোড়া, ঢিল, ঢাল, ঢোল, পাঠা, পেট, ভিড়, মোটা, নারিকেল।
৫. বিদেশী শব্দঃ রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে নিয়েছে। এদের বলা হয় বিদেশী শব্দ। নিম্নে বিভিন্ন বিদেশী ভাষা হতে আগত বিদেশী শব্দসমূহ আলোচনা করা হল। বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দের আগত বিদেশী শব্দ সমূহ আলোচনা করা হল। বাংলা ভাষায় বিদেশী শব্দের পরিমাণ ৮ ভাগ।
ক. আরবি শব্দঃ আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওযু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত, গোসল, জান্নাত, জাহান্নাম, তরবা, তসবি, জাকাত, হজ, হাদিস, হারাম, হালাল, আদাব, অন্দর, আজগুবি, আদালত, আমলা, আমানত, আয়েম, আসামি, ইজারা, ইঞ্জিল, ইমন, ইমারত, ইশারা, ইশতেহার, উকিল, উজির, এখতিয়ার, এতিম, এলাকা, ওয়ারিশ, কদর, কলপ, কলম, কালিয়া, কুমকুম, কুলুপ, খবর, খাজনা, খালাস, গরিব, জলসা, জেলা, তালিকা, তবলা, তুফান, তুলকালাম, দালাল, নকল, নকশা, নিকাহ, ফসল, বকেয়া, মহস্বল, ময়দান, মশাল, মসলা, মুনাফা, মুলতবি, মোলায়েম, লেবাস, লোকসান, শহিদ, হুলিয়া, সবুর, তাকলিক, দখল, তদারক, শতরঞ্জ, জালিয়াতি, মুশকিল, ওয়াকিফ, মোলায়েম, কবুল, মুরিদ, নেয়ামত, মোক্তার, তবলা, মামলা, তদবির, তকদিও, আমেন, শরিক, শরিফ, হামলা, ফয়সালা, মৌসুমি, হলফ, ওস্তাদ, জমায়েত, বরাত, মিছিল, হেলাল, তাকলিফ, সফর, মর্সিয়া, হাওয়া, জাহাজ, মুসাফির, তেজরাত, জুলমাত, গাফলত, খেয়াল, মজলুম, বাজে, তুফান, কৈফিয়ত, জামিন, হাকিম, মুহুরি, আবির, আলাদা, কবর, কলপ, কসাই, মুসাফির, দালাল, তারিখ, দুনিয়া, নাকাল, ফতোয়া, মল্লিক, মসজিদ, মহকুমা, মৌলবি, রায়, লেবু, হালুয়া, মন্সেফ, মোক্তার, রায়, গায়েব, কেচ্ছা, সনদ, কানুন, কলম, ওজর, জাকাত, এলেম, এজলাস, ইনসান, মশকরা, মশগুল, শরবত, Boron, Zirconium.
ফারসি শব্দঃ খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত, রোজা, কারখানা, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, তোশক, দফতর, দরবার, দোকান, দস্তখত, দৌলত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর, রসদ, আদমি, আমদানি, জানোয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাশ, রফতানি, হাঙ্গামা, শিন্নী, বান্দা, পেরেশান, কাগজ, খরচ, জিন্দাবাদ, মলম, হিন্দু, আইন, কানুন, আজাদ, আড়ং, আন্দাজ, আপোস, আফিম, আবদার, আমেজ, ইয়ার, জেসমিন, ইসবগুল, কবুতর, কমর, কামান, কিমা, খায়েশ, গরম, গোয়েন্দা, গ্রেফতার, চাদর, চালাক, জঙ্গি, জখম, জরিমানা, তাজা, দরিয়া, দালান, দেওয়ানা, দোয়াত, নাম, নালিশ, নিশান, পালক, পেঁয়াজ, পোলাও, পোশাক, ফরিয়াদ, বখশিশ, বরখাস্ত, বস্তা, বাগান, বাচ্চা, বাজার, রং, রুমাল, শনাক্ত, সানাই, শালগম, সালোয়ার,সওদাগর, সস্তা, সিপাই, সুদ, গালিচা, দোকান, গুজব, দরদ, সরকার, হাঙ্গামা, চাকুরি, তামাশা, চিজ্, আওয়াজ, পেয়ালা, নজরানা, ফরমান, বাজি, তালাশ, বাহাদুর, আদমশুমারি, আফগান, পাঞ্জেরি, সিয়া, জিন্দেগানি, বাব, খাব, দিল, বন্দর, কারচুপি, কারবার, কিংখাব, কিনারা, খুশি, গোলাপ, জেনানা, তোশামোদ, দারোগা, পয়জার, পরি, পাজি, পায়তারা, পালোয়ান, পোদ্দারি, বুনিয়াদ, বাদশাহি, বিমা, মগজ, মজুর, মেথর, মোরগ, রে্যাঁদা, লঙ্গরখানা, লাল, সফেদ, সর্দিগর্শি, সেতার, হাতেশা, হিন্দু, হুঁশ, হুঁশিয়ার, খতরনাক, ফৌজদারি, বাবেল মান্দেব, পরহেজগার, কানকাহ, দরগাহ, সাদা, চশমা, রাস্তা, সবুজ, ফরমান, তারিখ, শিরোনাম, মৌলবী, বান্দা, শাদি, সবজি, রসদ।
ইংরেজী শব্দঃ
অনেকটা ইংরেজী উচ্চারণে: ইউনির্ভাসিটি, ইউনিয়, কলেজ, টিন, নভেল, নোট, পাউডার, পেন্সিল, ব্যাগ, ফুটবল, বিল, মাস্টার, লাইব্রেরি, টুল, টিন, টেবিল, টিকিট, স্টেশন, রেল, লাইন, পুলিশ, পেনসিল, সিনেমা, থিয়েটার, কোম্পানি, ডিসমিস, ফেল।
পরিবর্তিত উচ্চারনে: আফিম (Opium), অফিস (Office), বাক্স( Box), স্কুল (School), হাসপাতাল (Hospital), বোতল (Bottle), বেঞ্চি (Bench), লাট (Lord), ডাক্তার (Doctor), ইঞ্চি (Inch), গেলাশ (Glass), এজেন (Agent), ইংরেজী (English), সান্ত্রি( Sentry), গারদ (Guard), ফেরি (Ferry), খ্রিষ্ট (Christ), জজ (Judge), জেল (Jail)
পর্তুগিজ শব্দঃ আনারস, আতা, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি, ইস্তিরি, ইস্পাত, কেদারা, কামরা, কেরানি, কপি, গামলা, জানালা, জালা, টুপি, পেপে, পেরেক, পেয়ারা, ফিতা, ফালতো, বালতি, বোতাম, বারান্দা, বেহালা, বর্গা, সাবান, নিলাম, ইংরেজ, সাবান, তোয়ালে, নিলাম, নোনা, যিশু, আলকাতরা, মার্কা, জানালা, ক্রশ, পরাত (বৃহৎ থালা), মিস্ত্রি, গামলা, সেমজি, কামিজ, গির্জা, টুপি, বোমা, কেরানি, কামরা, আতা, তামাক, ইস্পাত, আয়া, আচার, পিস্তল, বেহালা, মাস্তÍল, মাইরি, গুদাম, বর্গা, সাবান, গরাদ, সাবু, কাকাতুয়া, পেয়ালে।
তুর্কি শব্দঃ উৎবুক, কোর্মা, তুরুক, তোশক, বন্দুক, বাইজি (মূলশব্দ বাজি), বারুদ, বেগম, সওগাত, তোপ, কাবু, তক্মা, কাঁচি, খাতুন, খাঁ, বিবি, মুচলেকা, আলখেল্লা, চাকু, লাশ, বাবা, ঠাকুর, উর্দি, উর্দু, কুলি, করনিশ, খোকা, বাবুর্চি, কুর্নিশ, কোর্তা, ক্রোক, চাকর, দারোগা, বোচকা, সুলতান, কাঁচি, মোগল, লাশ।
ফরাসি শব্দঃ ওলন্দাজ, দিনেমার, ক্যাফে, রেস্তরাঁ, আঁতাত, ডিপো, ইংরেজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, গ্যারাজ, বর্গী, তোয়ালে, রেনেসাঁ, কুপন।
ওলন্দাজ/ডাচ শব্দঃ ইস্কাপন, টেককা, তুরুপ, রুইতন, হরতন।
হিন্দি শব্দঃ আগড়ম-বাগড়ম, আচ্ছা, কাছারি, কাহিনি, কুত্তা, খাম (খুঁটি অর্থে), খুজলি, খেলনা, গদি, ঘাবড়ানো, ঘুষাঘুষি, চাঁদোয়া, চাচা, চাটনি, চাটা, চাটাই, চানা (চানাচুর), চাপাতি, চিড়িয়া, চোট্টা, ছাতি (বুক অর্থে), ছালুন, জায়গা, জিলাপি, ঝান্ডা, ঝামেলা, টপ্পা, ঠিকানা, ঠক্কর, ডালপুরি, ঢিলা, তার, দাদা, দাদি, দুলা, ধোলাই, পানি, ফুফা, ফুফি, ভাই, বোন, মামা, মামি, চাচা, চাচি, নানা, বাচ্চা, বড়াই, বেটা, ভরসা, সুজি, ওয়ালা, ছিনতাই, ডেরা, টহল, ডেমরা, ইস্তক, দোসরা, রুটি, জঙ্গল, মিঠাই, কাহিনি, বার্তা, সাচ্চা, টহল, পুরি।
উর্দু শব্দঃ আব্বু, কলিজা, ঘাগরা, চুঙ্গি, ছিলিম, ঠুমরি, বদলা, হল্লা
গুজরাটিঃ খদ্দর, হরতাল
পাঞ্জাবিঃ চাহিদা, শিখ সিংহলি ঃ সিডর ( চোখ)
তামিলঃ চুরুট বা চুরট
মায়ানমার (বার্মিজ): লুঙ্গি, ফুঙ্গি (বৌদ্ধ ভিক্ষু)
চীনাঃ চা, চিনি, লুচি, এলাচি, সাম্পান, লবি, লিচু
জাপানিঃ রিক্সা, হাসনাহেনা, ক্যারাটে, জুডো, হারিকিরি, প্যাগোডা
গ্রিক শব্দঃ দাম, সেমাই, সুড়ং, ইউনানি, সুডো, সুড়ঙ্গ, কেন্দ্র,Education
মালয়ঃ কিরিচ, কাকাতোয়া, আইলা (ডলফিন)
ইতালিয়ানঃ সনেট, ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া, ম্যাজেন্টা
জার্মান : নাৎসি
মেক্সিকান : চকলেট
দক্ষিন আফ্রিকানঃ জেব্রা
অস্ট্রেলীয় শব্দঃ বুমেরাং, ক্যাঙ্গারু
পেরু শব্দঃ কুইনাইন
মিশ্র শব্দ
কোনো কোনো সময় দেশি ও বিদেশী শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে।
উদাহরণঃ রাজা – বাদশা (তৎসম+ফারসি)
হাট – বাজার (বাংলা + ফারসি)
হেড – মৌলভি ( ইংরেজি + ফারসি)
হেড – পন্ডিত (ইংরেজি + তৎসম)
খ্রিষ্টাব্দ (ইংরেজি + তৎসম)
ডাক্তার – খানা (ইংরেজি + ফারসি)
পকেট – মার ( ইংরেজি + বাংলা)
চৌ – হদ্দি ( ফারসি + আরবি)
শাক – শবজি ( তৎসম + ফারসি)
মাস্টার – মশাই (ইংরেজি + তদ্ভব)
আইনজীবী ( আরবি + তৎসম)
শ্রমিক – মালিক (তৎসম + আরবি)
উপসর্গ যোগে,
বেটাইম ( ফারসি উপসর্গ + ইংরেজী )
নিটল (বাংলা উপসর্গ + তৎসম)